মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনায় বাস চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। পরে স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুপাতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় বাকেরগঞ্জ রুটের একটি টিকেট কাউন্টার রয়েছে। কোনো নোটিশ না দিয়ে সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক সার্জন মো. রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন সদস্য কাউন্টারটি সরিয়ে নিতে বলেন। যা নিয়ে শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
তবে বাস শ্রমিকদের দাবি, ওই কাউন্টারে দায়িত্বরত ক্লার্ক ইমরান হোসেনকে লাঞ্চিত ও কাউন্টারের আসবাবপত্র ফেলে দিয়েছে পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনায় শ্রমিকরা রুপাতলী থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে শ্রমিক ও মালিক সমিতির নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে রুপাতলী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন অভিযোগ করেন, সড়কের পাশের ওই কাউন্টার থেকে যাত্রী ওঠানো হয়। যাত্রী ওঠাতে একটু সময় লাগে। এ নিয়ে কাউন্টারে দায়িত্বরতদের ওপর ট্রাফিক পুলিশের সদস্য রফিকুল ইসলাম চড়াও হন। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি তাৎক্ষণিক শান্ত করা হয়। তবে একই সড়কে থ্রি-হুইলার রেখে যাত্রী তোলায় যানজটের সৃষ্টি হলেও সেখানে কারো নজর নেই, এটা হতাশাজনক যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তম পাল জানান, কাউন্টারের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় সেটিকে সরিয়ে নিতে বলা হলেও তা সরানো হচ্ছিলো না। সেটি সরাতে গেলে শ্রমিকরা ভুল বোঝে। তবে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এমএস/আরআর