২০০৫ সালের সেদিনটিকে স্মরণে প্রতিবছরের মতো শোক আর শ্রদ্ধায় দিবসটি পালন করার উদ্যোগ নেয় ঝালকাঠি জেলা জজশীপ ও আইনজীবী সমিতি।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে একটি শোক র্যালি বের করা হয়।
সেখানে বিচারকদের স্মরণে নির্মাধিন স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। পরে নিহত বিচারকদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।
এ সময় ঝালকাঠি আদালতের সরকারি কৌশলি (পিপি) আব্দুল মান্নান রসূল সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ বজলুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রুবাইয়া আমেনা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো, সাইদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ জজশীপের বিচারক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আইনজীবীরা।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঝালকাঠিতে ওই দুই বিচারক নিহত হন।
ওই দিন সকালে সরকারি বাসভবন থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুজনকে বহনকারী মাইক্রোবাসে এই নৃশংস হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ শহিদ সোহেল আহমেদ। আর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে।
হামলার পর আহত অবস্থায় ধরা পড়েন হামলাকারী জেএমবির আত্মঘাতী গ্রুপের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। এর পর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়।
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ মে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালত সেই রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ছয় শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
নৃশংস এ হামলার পর থেকে প্রতিবছর নিহত দুই বিচারপতির স্মরণে দিনটিকে স্থানীয়ভাবে বিচারক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক, আইনজীবী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এমএস/জিপি