মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ হাওরের চামড়া ঘাটে এসব পোনা অবমুক্ত করা হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চলতি বছরের প্রথম দিকে হাওরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মারা গেছে।
মাঠ গবেষণা কমপ্লেক্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আহসান বিন হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কার্প জাতীয় মাছের লক্ষাধিক পোনা অবমুক্ত করেছি। যা কার্পের প্রকৃত জার্মপ্লাজমের মজুত বাড়াবে। আশা করা যায় মজুত করা কার্পের পোনাগুলো আগামী বছরের মধ্যে ব্রুডমাছ হিসেবে পোনা উৎপাদনে সক্ষম হবে। ফলে হাওরে কার্পের অভাব কিছুটা হলেও পূরণ হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে কার্পের পোনা উৎপাদনের মাধ্যমে হাওরে মাছের অভাব দূর হবে।
এ উদ্যোগ বিশাল হাওরের তুলনায় অত্যন্ত ক্ষুদ্র। তাই হাওরাঞ্চলে দেশের অন্যান্য মাছের পোনা উৎপাদনকারী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুণগতমানের পোনা অবমুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। এভাবে হাওর পূর্বের মত মৎস্য ভান্ডারে পরিণত হবে বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।
পোনা অবমুক্তকরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ মাঠ গবেষণা কমপ্লেক্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আহসান বিন হাবিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান সরকার, একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক ও অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম ও করিমগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. উজ্জ্বল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
টিএ