সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে চরঠিকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেমিক মিলনের স্বজনরা সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
গত রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে প্রেমিক মিলনের (২১) হাত ধরে প্রেমিকা সুরমি আক্তার (১৮) পালিয়ে যায়। মিলন উপজেলার চরঠিকা গ্রামের নুরনবী ছেলে এবং সুরমি আক্তার একই গ্রামের প্রতিবেশী আবুল বাশারের মেয়ে।
মিলনের পরিবারের অভিযোগ, সুরমি আক্তারে সঙ্গে র্দীর্ঘদিন মিলনের প্রেম চলে আসছিলো। তারা একে অপরকে বিয়ে করতে চায়। উভয় পরিবার বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিক যুগল পালিয়ে যায়। এ ঘটনার জের ধরে প্রেমিকার বাবা, ভাইসহ স্বজনরা প্রেমিক মিলনের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে পাঁচজন আহত হয়।
আহতরা হলেন- রোজিনা বেগম (২১), দুল্লবি বেগম (৩০), বকুল বেগম (২৭), আসমা বেগম (১৯) ও তিন মাসের শিশু জান্নাত। এর মধ্যে বকুল বেগমকে সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রেমিকার ভাই রাসেল হামলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, তারা আমার বোনকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে কেউ এখনো অভিযোগ করে নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
জিপি/