প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ বন্ধুকযুদ্ধ শুরু হয় বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৭টায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২৪ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- আব্বাস বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ইউসুফ ফকির ও সক্রিয় সদস্য সিরিয়াল কিলার রুহুল আমিন। তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব ও উপ-অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা জানান, সকালে কাতলার খালে র্যাবের একটি দল নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এ সময় সুন্দরবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে র্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযানে যায়। টের পেয়ে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে দস্যুরা গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। একপর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটে সুন্দরবনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুই দস্যুর গুলিবিদ্ধ মরদেহ এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব। বনজীবীরা পরে নিহত দস্যুদের পরিচয় নিশ্চিত করে।
নিহতদের মরদেহ এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এসআই