খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার (গ্রেড-১) মানিক চন্দ্র সরকার বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, সকল আনুষ্ঠানিকতার পর বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে খুলনা-কলকাতা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। সপ্তাহে একদিন বৃহস্পতিবার ট্রেনটি চলবে।
তিনি জানান, ৯ নভেম্বর থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৫৬টি টিকিটের মধ্যে ২৫০টি বিক্রি হয়েছে। ট্রেনটি ছাড়ার পূর্ব পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলবে। খুলনা থেকে কলকাতায় যেতে কাস্টমস-ইমিগ্রেশনসহ প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে বন্ধনের যাত্রীদের।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, খুলনা-কলকাতা ১৭৫ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিতে যাওয়া বন্ধন এক্সপ্রেসে মোট ১০টি কোচ রয়েছে। এর মধ্যে ইঞ্জিন ও পাওয়ারকার ২টি। বাকি ৮টি কোচে যাত্রীরা। যেখানে ৪৫৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে এসি (কেবিন) ১৪৪টি এবং ৩১২টি এসি চেয়ার আসন। যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসি কেবিন ২ হাজার টাকা। আর এসি চেয়ার কোচের টিকিটের ভাড়া ধরা হয়েছে ১৫শ’ টাকা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. সামিউল হক বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন পর এই রুটে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করছে।
চিকিৎসা, ভ্রমণ, সেমিনার, কেনাকাটা ও ব্যবসায়িক কাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে খুলনা ও আশপাশের অসংখ্য মানুষ খুব সহজে ট্রেনে করে কলকাতা যাতায়াত করতে পারবে। সরাসরি ট্রেন চালুর ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগও অনেকটা কমবে।
তিনি সপ্তাহে একদিন ট্রেনের পরিবর্তে অন্তত তিনদিন ট্রেন চলাচলের দাবি করেন। একই সাথে ভাড়াও কমানোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, আগে খুলনা ও কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতো। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই রেল যোগাযোগ। ৯ নভেম্বর সকাল সোয়া ১১টায় দিল্লি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ঢাকা থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কলকাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুইচ টিপে বন্ধন এক্সপ্রেসের পরীক্ষামূলক যাত্রার শুভ সূচনা করেন। আর ১৬ নভেম্বর থেকে এ রুটে শুরু হচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এমআরএম/আরআই