নৌ বাহিনী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিন ধরে চলা ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের এ গবেষণা দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির জরিপ জাহাজ ‘মীন সন্ধানী’।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কবির বিন আনোয়ার।
তিনি বলেন, সাগরতলের বিশাল সম্পদের কথা বলতেই তেল-গ্যাসের কথা মাথায় আসে। কিন্তু তেল-গ্যাস অনুসন্ধান আমাদের কাজ না। আমরা সাগরের মৎস্য, প্রাণিজ, জীববৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে কাজ করব।
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে এবারের গবেষণায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০ জন গবেষক আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে অংশ নেবে বলে জানান কবির বিন আনোয়ার।
চলতি বছরের মার্চ মাসে ১৩ জনের একটি গবেষক দল সোয়াচের নানা এলাকা ঘুরে গবেষণাধর্মী একটি মানচিত্রের কাজ সম্পন্ন করে এসেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পাঁচদিনের এই অভিযাত্রা বলেও জানান তিনি।
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সাগর অভিমুখে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত উল্লেখ করে কবির বিন আনোয়ার বলেন, এর কিছু অংশ বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কার আওতায় পড়েছে। বাংলাদেশের অংশেই আমাদের গবেষণা চলবে। কারণ এই জায়গাটি এখনো আমাদের কাছে রহস্য।
সাগরতলে ২০০ মিটার পর্যন্ত গভীরে গিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে যতটুকু গভীর পর্যন্ত সম্ভব ততটুকু এলাকার প্রাণিজগৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করা হবে। এছাড়া ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্য একটা গাইডলাইন তৈরি করা হবে।
এই অভিযাত্রাকে নীল জলরাজ্যের হাতছানিতে বড় গবেষণার একটি সূচনাপর্ব হিসেবে দেখছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ সম্মেলনে ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক সাকিল আহমেদ, আন্ডার ওয়াটার এক্সপ্লোরার এসএম আতিকুর রহমান ছাড়া সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
পিএম/এমজেএফ