মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মান্দারী এলাকায় এ অমানবিক ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সোহেল মান্দারী বাজারের বাবুলের চায়ের দোকানের কর্মচারী। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে শিশু সোহেল দোকানের উদ্দেশ্যে বেরোলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে পথিমধ্যে সুপারি বাগানে যায়। সেখান থেকে সোহেলকে স্থানীয় জবিউল্লাহ ও কালু পাটোয়ারী ধরে নিয়ে যায়।
তাদের গরুর সঙ্গে অসামাজিক কাজ করার অভিযোগ এনে সোহেলকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে থেমে থেমে লাঠিপেটা করা হয়। একপর্যায়ে ঝাড়ুপেটা করেও তার স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
বিষয়টি গোপনে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন স্থানীয় এক যুবক। খবর পেয়ে সোহেলের দোকান মালিক বাবুল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ছেড়ে দিতে বলে। এ সময় জরিমানা বাবদ বাবুলের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় শিশুকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে আহত সোহেলকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেয় পুলিশ।
সোহেল বলে, অপবাদ দিয়ে আমাকে বেঁধে মারধর করা হয়। আমি তাদের হাত-পা ধরে কান্নাকাটি করেও রক্ষা পায়নি।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জবিউল্লাহ ও কালু পাটোয়ারী আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার খবর পেয়ে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এএটি