বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে দিকে কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা সরভানু লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী।
আহত যাত্রীদের মধ্যে সালেহা বেগম (৫০), জাকির হোসেন (৩৫) ও তানিয়া বেগমকে (২৫) গুরুত্বর অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাস দুর্ঘটনার পর কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কে প্রায় দুইঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে সড়কটির দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে কলাপাড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি অপসারণ করা হলে বেলা ১১টার দিকে সকড় যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
আহত বাসযাত্রী মো. আল-আমীন বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় যাচ্ছিলো বাসটি। সকাল ৭টার দিকে কলাপাড়া উপজেলার শেখ কামাল সেতুর ঢালে যাত্রী নামিয়ে বাস চালক সেখানে নেমে যায়। এ সময় অন্য একজন বাসটি চালিয়ে কুয়াকাটার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
পথিমধ্যে খলিলপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশাকে রক্ষা করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসটি উল্টে যায়। এ সময় আহত হন- বাস যাত্রী লেহা বেগম, জাকির হোসেন, তানিয়া বেগম, বাবুল হোসেন, ফিরোজ, মামুন মিয়া, রফিক মিয়া, আল-আমীন, রশিদ হোসেন, ইউসুফ মিয়া, জাকির হোসেন, সালাউদ্দিন ও শাহীন।
আহতদের মধ্য থেকে সরভানু নামে এক বৃদ্ধা কলাপাড়া হাসপাতালে মৃত্যু হয় বলে জানান জরুরি বিভাগে সহকারী চিকিৎসা মো. হালিম।
লতাচাপলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, আহতের সবাই কুয়াকাটা, লতাচাপলী ও মহিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। অদক্ষ চালক দিয়ে বাসটি চালানোর কারণেই এ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধারে করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি অপসারণ করে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সরভানুর ছেলে আ. ছালাম মোল্লা বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাসটির চালক শহীদ মৃধা ও সহকারী পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা যায়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এমএস/জিপি