বুধবার (১৫ নভেম্বর) নবান্ন উৎসব-১৪২৪ উদযাপনে যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আগেকার দিনে, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নবান্ন অনুষ্ঠানে নতুন অন্ন দেবতা, কাক ও প্রাণীকে উৎসর্গ করে এবং আত্মীয়-স্বজনকে পরিবেশন করার পর গৃহকর্তা ও পরিবার সদস্যরা অন্ন গ্রহণ করতেন।
দেশের নানা জায়গায় আয়োজন করা হতো পিঠামেলার। পরবর্তীতে সব মানুষের সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে নবান্ন উৎসব সমাদৃত ছিল। ১৯৯৮ সাল থেকে রাজধানী ঢাকা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন উৎসব উদযাপন শুরু হয়েছে।
যশোরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ রেজায়ে রাব্বী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনিসুজ্জামান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস, জেলা কালচারাল অফিসার হায়দার আলী, সম্মেলনী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিহির কান্তি সরকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. শামীম এহসান সবুজ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি পরিচালনা কমিটির সদস্য সাংবাদিক ও ছড়াকার সাজ্জাদ গনি খান রিমন, সরকারি মোমেন গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থী সিনথিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সরকারি মোমেন গার্লস স্কুলের শিক্ষক আহসান হাবীব পারভেজ।
এর আগে, নবান্ন উৎসব উপলক্ষে একটি র্যালি বের হয়ে কালেক্টরেট চত্বর প্রদক্ষিণ করে। এতে জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কে. এম মামুনউজ্জামান ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
আরআইএস/