বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
চার্জশিটভুক্ত জেএমবি সদস্যরা হলেন- মো. তামিম চৌধুরী ওরফে তালহা ওরফে আবু দুজানা আল বাঙ্গাল (৩২), সরোয়ার জাহান ওরফে আশিফ ওরফে আজোয়াফ বিন আব্দুল্লাহ ওরফে মানিক (৩২), মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন (৩০), জাহিদুল ইসলাম ওরফে মেজর জাহিদ (৩৯), শরিফুল ইসলাম খালিদ (২৬), নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান (২৩), জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে সুবাস ওরফে রাজিব গান্ধি ওরফে আদিল ওরফে শান্ত ওরফে টাইগার (২৮), মতিউর রহমান হৃদয় (৩০), মাহফুজুর রহমান (৩২), মাজাদুল হাসান কবির (৩৩), আবু মুসা ওরফে তালহা ওরফে রবিন (৩৫) ও নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান (৩১)।
এদের মধ্যে সাতজন বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছেন, চারজন পলাতক ও একজন পুলিশের হাতে গ্রেফতার রয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, একটি বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে জেএমবি সদস্যরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, বিদেশি নাগরিক, কিছু ভিন্ন মতাদর্শী মুসলিম নাগরিকের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করেন।
সেই ধারাবাহিকতায় জেএমবি সদস্যরা বড়াইগ্রামের খ্রিস্টান ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এতে উত্তরবঙ্গের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের কিলিং মিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে সুবাস ওরফে রাজিব গান্ধির ওপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। সেই দায়িত্ব মোতাবেক জেএমবি সদস্যদের নিয়ে নাটোর অবস্থান করেন জেএমবি সদস্য রাজিব গান্ধি।
একপর্যায়ে তারা সুনীল গোমেজকে হত্যার টার্গেট করেন এবং তাদের কিলিং মিশন সফল করতে ২০১৬ সালের ৪ জুন নাটোর রাজবাড়ীতে বৈঠক করেন।
বৈঠকে জেএমবি সদস্য রাজিব গান্ধি তাদের অন্য সদস্যদের দায়িত্ব বন্টন করে দেন। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ৫ জুন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
এতে পাঁচজন জেএমবি সদস্য অংশ নেন। তারা হলেন- মতিউর রহমান হৃদয়, মাহফুজুর রহমান, মাজাদুল হাসান কবির, আবু মুসা ওরফে তালহা ওরফে রবিন ও নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান।
এ ঘটনায় সুনীল গোমেজের মেয়ে স্বপ্না গোমেজ বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় ওইদিন সন্ধ্যায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই।
তিনি এ মামলা তদন্ত শেষে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ১২ জেএমবি সদস্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), মো. আবুল হাসনাত, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই প্রমুখ।
ওসি মো. আব্দুল হাই বাংলানিউজকে জানান, দুই/একদিনের মধ্যে তিনি বড়াইগ্রাম আমলী আদালতের বিচারক ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামসুল আলামিনের কাছে চার্জশিট দাখিল করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
আরবি/