তিনি বলেছেন, আমরা জানি কক্সবাজার অঞ্চলে যারা দরিদ্র মানুষ তাদের কষ্টের সীমা নেই, কারণ একসঙ্গে এতগুলো মানুষ মিয়ানমার থেকে এদেশে এসেছে। এর ফলে ওখানে যারা বসবাস করেন তাদের কষ্ট হচ্ছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রশ্ন রেখে বদি বলেন, রোহিঙ্গারা বেশিরভাই আমার নির্বাচনী এলাকায় (উখিয়া) আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে ওখানে যে সমস্ত খাস জমি ও বনাঞ্চল ছিল সব দখল হয়ে গেছে। সেখানে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এসব জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করত। জমি দখল হওয়ার কারণে তারা চাষাবাদ করতে পারছেন না। তারা কষ্টে আছেন। তাদের ৫-৬ মাস ২০ কেজি চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করলে এরা বাঁচতে পারবেন।
প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তাদের কথা চিন্তা করছি। মিয়ানমার থেকে আসা ১০ লাখ লোক আমরা খাওয়াতে পারছি, সেখানে আমাদের দেশের মাত্র ১৫ হাজার মানুষকে খাওয়াতে পারব না। এত দীনতা আমাদের নেই।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি এখানে উস্কানি আছে। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান যখন সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা নিয়েছিল তখন এই সমস্যার সৃষ্টি। পাবর্ত চট্টগ্রাম অশান্ত হয় ১৯৭৬-৭৭ সালে। এখানে অস্থিরতা আছে সন্দেহ নেই। আমরা অত্যন্ত সচেতন আছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করাচ্ছি, আইডি কার্ড দিচ্ছি; তারা যাতে কোনো দিকে যেতে না পারে, অন্য কিছুতে জড়াতে না পারে। সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সচেতন। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সৎ ভাব বজয়া রেখে চলতে চাই। কাউকে এ দেশের মাটি ব্যবহার করে সংঘাত ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে দেব না। যারা উস্কানি দেবে তাদের বিরুদ্ধে এবং যারা ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এসকে/এসএম/এমজেএফ