বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের আমবাড়ী সীমান্তের ৮৪০ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় ব্যাটালিয়ন পরিচালক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত ওই সীমান্তের ভারতীয় অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি গরুর রাখালকে গুলি করে হত্যার করা হয়।
নিহত ফরিদ বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা ঠাকুরপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।
সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, ওই সীমান্ত পথে বেশ কয়েকজন রাখাল ভারতে অনুপ্রবেশ করে। এসময় তাদের লক্ষ্য করে কুচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বিএসবাড়ী ক্যাম্পের টহল দল কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই ফরিদ নিহত হন। বাকীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ফরিদের মরদেহ বিএসএফ নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানালে ওই সীমান্তে বসা পতাকা বৈঠকে বিএসএফ গুলিতে নিহতের সত্যতা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরে হস্তান্তর করা হবে বলে পতাকা বৈঠকে জানানো হয়।
পতাকা বৈঠকে রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত) লে. কর্নেল মুশফিকুর রহমান ও কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল অজয় শূরিয়া রাজবংসীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা বৈঠক শেষে লে. কর্নেল মুশফিকুর রহমান বলেন, সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফের টহল দল তাদের বাধা দিলে বিএসএফের ওপর হামলা চালায় চোরাকারবারিরা। পরে আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে বিএসএফ। এসময় মারা যান ফরিদ। তবে বিএসএফ এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
আরবি/