বাংলানিউজকে তিনি জানান, নৌ-পুলিশের এসআই আতিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। তবে মামলায় কতজনকে আসামি করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে রাজি হননি ওসি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে বড়ইয়া গ্রামের বিষখালী নদীতে জাটকা বিরোধী অভিযানে যান বরিশালের বাখেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতির নৌ ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা।
বিষখালী নদী ও বুথমারা খালের মোহনায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জাটকা শিকারের সময় নুরজামালসহ তিন জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় নুরজামালকে পুলিশ হেফাজতে রাখলেও বাকি দুই জেলে নদীতে ঝাপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে নুরজামালকে পুলিশ সদস্যরা মারধর করছে- এমন খবরে জেলে ও এলাকাবাসী কয়েকটি ট্রলারে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশের সঙ্গে জেলে ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন আহত হন।
বরিশাল নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতালেব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের অভিযানের সময় কয়েকজনকে আটক করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় জেলেরা। এতে নৌ-পুলিশের সব সদস্যই কম বেশি আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
‘মূলত ওই জায়গায় অভিযানে গেলে কোনো না কোনো ঝামেলা হচ্ছেই। সেখানে বিশাল এলাকাজুড়ে জেলেরা অবৈধ কারেন্ট জাল ফেলে জাটকা শিকার করেন। তবে এ ধরনের ঝামেলা হলেও দেশের সম্পদ রক্ষায় অভিযান চলবে,’ বলেন তিনি।
এএসপি মোতালেব বলেন, আটক জেলেকে মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এমএস/এমএ