বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে সংসদ অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর ৭১ বিধিতে উত্থাপিত নোটিশের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। নোটিশে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ মাদক উৎপাদন করে না, লাইসেন্সও দেয়নি। তারপরেও মাদক আসছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তবে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হলেও চুক্তির পর্যায়ে যেতে পারেনি।
মন্ত্রী জানান, ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে চুক্তির পর ফেনসিডিলসহ অন্য মাদক আসা কমে গেছে। তবে মিয়ানমার থেকে মাদক আসার একটা সমস্যা রয়েছে। এখানে নাফ নদী ও বান্দরবানের গভীর জঙ্গল দিয়ে মাদক আসে। বান্দরবনের ওই এলাকায় বিজিবি সব সময় থাকতে পারে না। ইয়াবা আসা বন্ধে মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। নাফ নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ করেছি। তবে মাদক একটা সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলে এই ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাবো। জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবীসহ সব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৫ লাখ ১১ হাজার ২৩৪টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া ২৫৯ হাজার ৩৬৫ মেট্রিকটন হেরোইন, ৫ লাখ ২৪ হাজার ১৩৭ বোতল ফেনসিডিল এবং ৫২ হাজার ৯৪ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৮ হাজার ৫৩৯টি মামলা করে ৯৮ হাজার ৪৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ হাজার ৯৯১টি মামলা করে ৬ হাজার ১৩০ মাদক ব্যবসায়ীকে তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এসএম/এসকে/এএ