ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
পাবনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত ১

পাবনা: পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের শ্রীকোল আমিনা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে নূরুল ইসলাম (৪৮) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি শ্রীকোল গ্রামে।

গুলিবদ্ধি অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ১১টার দিকে নূরুল ইসলাম স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দুইটি মোটরসাইকেলে করে ৪ থেকে ৫ জন যুবক এসে তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এসময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক এম এ তালেব জানান, তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামের শ্রীকোল আমিনা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের বিরোধ চলছিল।

তাদের দাবি নূরুল ইসলাম ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আওয়াল কবির জয়ের সমর্থক। স্থানীয় ভাবে চেয়ারম্যানের পক্ষ না নেয়ায় তাকে গুলি করা হয়েছে।

আহত নূরুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিতে চান। কিন্তু গ্রামের কেউ তাতে সমর্থন দেয়নি এবং তিনিও চেয়ারম্যানকে সমর্থন দেননি। ফলে চেয়ারম্যানের লোকজন তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। চেয়ারম্যানের দুই ছেলে মিলন ও মাসুদসহ তাদের কিছু অনুসারি বেশ কিছুদিন ধরে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলে করে এসে তারাই গুলি চালিয়েছে। তিনি সবাইকে চিনতেও পেরেছেন।
 
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আওয়াল কবির জয় বলেন, চেয়ারম্যান তার পছন্দের প্রার্থী সোহরাব হোসেনকে অবৈধভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক করতে চান। এতে গ্রামের কারো মত নেই। ম্যানেজিং কমিটিও সমর্থন দেয়নি এবং তিনি জোর করে কমিটির চারজনকে পদত্যাগ করিয়ে নিজের লোক বসানোর চেষ্টা করছেন। ফলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের দুই ছেলেসহ সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন। তারা আরও মানুষের ক্ষতি করতে পারে। আমরা এর প্রতিকার চাই।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও আহত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। যারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি করেছে তাদের খোঁজা হচ্ছে। আশা করছি খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১১ ঘণ্টা, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।