বুধবার (নভেম্বর ১৫) রাজধানীর একটি হোটেলে শিশুটির অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন চিকিৎসকরা।
আমান জাওয়াদ নামে ওই শিশুটিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
লিভার প্রতিস্থাপনের সঙ্গে যুক্ত অ্যাপোলো হাসপাতালের গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর এবং গ্যাস্ট্রোএনটেরলজিস্ট ও হেপাটলজিস্ট ড. অনুপম সিবাল বলেন, অপারেশনটি ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ শিশুটি ইতোমধ্যেই হেপাটনিক এনকেফেলাপ্যাথি’র তৃতীয় পর্যায়ে থাকার কারণে লিভার দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে পারছিলো না। এর ফলে মস্তিষ্কও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলো। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভাবে লিভার প্রতিস্থাপনই ছিল শিশুটিকে বাঁচানোর একমাত্র উপায়। আমরা এমন একটি জটিল কাজ বিপদমুক্তভাবে করতে পেরে অত্যন্ত খুশি।
এ সম্পর্কে দিল্লি অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ড. নিরব গয়াল বলেন, “শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শিশুটির ডায়ালাইসিস করানো হয়। তীব্র লিভারের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এই শিশুটির জন্য স্বাভাবিক লিভার ট্রান্সপ্লান্ট এর চেয়ে উন্নত ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন ছিল।
১৯৯৮ সালে দিল্লি অ্যাপোলো হাসপাতালে প্রথমবারের মত সফল লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন হয়। তখন থেকে দুই হাজার নয়শ’র বেশি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন হয় যার মধ্যে ২৩৫ জনই ছিল শিশু। ১৯৯৮ সালে মাত্র ১৮ মাস বয়সে ভারতে প্রথমবারের মতো যে শিশুটির সফল লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করানো হয় সেই শিশুটি নিজেও এখন একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্র।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এমএন/আরআই