বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯১ বছর।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে পাঠানো এক সংবাদ জানানো হয়, তকীয়ূল্লাহর মরদেহ বিকেল ৪টার দিকে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেওয়া হবে। বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নীলক্ষেতের বাবুপুরায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে এই ভাষাসৈনিককে।
বর্তমানে বাংলাদেশ যে বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, তার সংস্কার হয়েছিল তকীয়ূল্লাহর হাত দিয়েই। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের যেসব ছবি এখন পাওয়া যায়, সেগুলো তারই তোলা। ১৯৫১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে কাটাতে হয় এই বাম নেতাকে।
চল্লিশের দশক থেকে দীর্ঘদিন কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এজেএম তকীয়ূল্লাহ। তিনি ১৯৫১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর তার ছোট ভাই। আর তার ভাতিজি গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
এজেএম তকীয়ূল্লাহর ছেলে আহমেদ ইউসুফ আব্বাস অগ্রণী ব্যাংকের একজন এজিএম। আর মেয়ে শান্তা মারিয়া দৈনিক আমাদের সময়ের ফিচার সম্পাদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
জিপি