তিনি বলেন, আমরা গ্রামগুলোকে সেইভাবেই ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বর্তমানে ১৪’শটি প্রকল্প চলমান আছে এগুলো বাস্তবায়িত হলে গ্রাম আর গ্রাম থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর শেরে-ই-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে মিট দ্য প্রেসে মন্ত্রী এসব তথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ৩০ মিলিয়ন মধ্যবৃত্ত শ্রেণী রয়েছে। এই সংখ্যা ভারত-চীনে অনেক বাড়ছে। সেই অনুয়ায়ী আমাদের দেশে বাড়ছে না। মধ্যম আয়ের ধাপ আরো বাড়াতে হবে। এই সংখ্যা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশ এখন এশিয়ান টাইগার। ২০৪০ সালে ১০ শতাংশ জিডিপি গ্রোথ হবে, তখন মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১৩ হাজার ৯০ মার্কিন ডলার। বর্তমানে ১ হাজার ৬১০ ডলার। আমরা টেকসইভাবে অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।
বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার নিজে ব্যবসা করবে তবে পরিবেশ সৃষ্টি করবে। সেই পরিবেশ ইতোমধ্যেই দেশে সৃষ্টি হয়েছে। জার্মানি বিদ্যুৎ খাতে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। নগরীর ঝিলমিল প্রকল্পেও মালয়েশিয়া-অস্ট্রিয়া ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। নতুন নতুন বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক এখন বাংলাদেশে।
মিট দ্য প্রেসে দেশে খাদ্য শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যানব্যুরো (বিবিএস)। বিবিএস জানায়, চলতি অর্থবছরে ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন সবজির উৎপাদন হয়েছে। গত অর্থবছরে যা ছিলো ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন। ফলে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন সবজি বেশি উৎপাদিত হয়েছে। তারপর কেন সবজির দাম কমছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ঝড় বৃষ্টির কারণে সরবরাহে ব্যঘাত ঘটেছে। এছাড়া গ্রাম থেকে শহরে সবজি আসতে পরিবহণ খরচ বেশি। আমাদের ব্যবসায়ীদের লাভ করার প্রবণতাও অধিক। একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে আর কমে না। ’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলাম, বিবিএস সচিব কেএম মোজাম্মেল হক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) জুয়েনা আজিজ, আইএমইডি সচিব মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এমআইএস/বিএস