ইতোমধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
দুই আসামির পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাত করানো হয়েছে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বাংলানিউজকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে যেকোনো সময় ফাঁসি কার্যকর হতে পারে। তবে বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করতে পারেনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সংশ্লিষ্ট।
কারাসূত্র মতে, ইতোমধ্যে ফাঁসির মঞ্চ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সম্ভাব্য জল্লাদদের মহড়া দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত চিঠি জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবু তালেব বাংলানিউজকে বলেন, ‘আইনগতভাবে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানোর সুযোগ নেই, তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা কার্যকর করবো'।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির চরমপন্থী নেতারা ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেনকে হত্যা করেন। এ ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই অহিম উদ্দিন বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার দীর্ঘ একযুগ পর ২০০৬ সালে তিন আসামির ফাঁসি, দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৬ আসামির বেকসুর খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত। তবে আসামিরা উচ্চ আদালতে রিভিউ করলে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড মওকুফ এবং দু’জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। তবে দীর্ঘ ২৩ বছর পরে ওই দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
ইউজি/এএটি