জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা জানান, টঙ্গীর তুরাগের তীরে জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে তারা বেশ আগেভাগেই ইজতেমা ময়দানে এসে হাজির হয়েছেন। উদ্দেশ্য ছিল, এখানে তাঁবুর মধ্যে থেকে তারা মুরুব্বীদের বয়ান শুনবেন, সে অনুযায়ী আমল করবেন।
কক্সবাজার থেকে আসা মুসল্লি মো. তকীউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, জোর ইজতেমায় জামাত বেঁধে এসেছি। এবার মাঠে বেশি ঘাস থাকায় বিছানা ভিজে যাচ্ছে। এর মধ্যে সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বৃষ্টি। তবু যতো দুর্ভোগই হোক, বৃষ্টিকে আল্লাহর দান বা রহমত বলেই মনে করছি।
বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বী গিয়াস উদ্দিন জানান, বিশ্ব ইজতেমা সুন্দর ও সফল করতে প্রতিবছর টঙ্গীর তুরাগের তীরে ৫দিনের জোড় ইজতেমার আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতিবারের মতো এবারও শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) শুরু হতে যাচ্ছে জোড় ইজতেমা। এবার জোড় ইজতেমায় দেশের ৬৪টি জেলা থেকে সব মিলিয়ে আড়াই থেকে তিন লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। কাছের ও দূরের অনেক মুসল্লি জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে আগেভাগেই ইজতেমা ময়দানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। মুসল্লিদের আসা অব্যাহত আছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মুসল্লিরা এখানে আসতে গিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। যারা এসে পড়েছেন তাদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আগামী ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে জোড় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
আরএস/ জেএম