বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) আসন্ন বিজয় দিবসের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে হওয়া আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সভা শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজয় দিবসের কোনো কর্মসূচিতে স্বাধীনতা বিরোধী কেউ অতিথি প্রধান অতিথি হতে পারবে না। অতীতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে স্বাধীনতা বিরোধীরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অতিথি, প্রধান অতিথি হয়েছে। এখন থেকে স্বাধীনতা বিরোধীরা কোনো অনুষ্ঠানে অতিথি, প্রধান অতিথি হতে পারবে না। এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কারা স্বাধীনতা বিরোধী, কারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এলাকার মানুষ জানে, তাদেরকে চেনে। ’
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং টিম গঠনের কাজ চলছে। দুই দেশের সমসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই এই টিম গঠন করা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই টিম গঠনের কাজ চলছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং প্যারেড গ্রাউন্ডে আসা যাওয়ার রাস্তায় কোনো ওভারহেড তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। স্মৃতিসৌধ ও প্যারেড গ্রাউন্ডে আসা, যাওয়ার রাস্তায় এবং বিজয় দিবসের কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ধ্যার আগেই বাইরের কর্মসূচি শেষ করতে হবে। সন্ধ্যার পর ইনডোর অনুষ্ঠান করা যাবে, তবে অনুমতি নিতে হবে। সন্ধ্যার পর বাইরে কোনো কর্মসূচি করতে হলে আগে থেকে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে অনুমতি নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসকে/আরআই