বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে আশুলিয়ায় পলাশবাড়ির বাতানটেক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. মিজানুর রহমান। তিনি মিরপুর পীরেরবাগ এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তার সহযোগী মানিকগঞ্জ শিবালয় সদর এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুস সালাম। বিক্রেতা গাইবান্ধা সদরের মামুন মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন এবং মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার বরটিয়া গ্রামের পাপ্পু মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান খোকন । তিনি পলাশবাড়ি এলাকার জিল্লুর বাসার ভাড়াটিয়া।
পুলিশ জানায়, চার মাস আগে মিজানুর ও সালাম এক মি.লি গ্রাম পরিমাণ সাপের বিষের নমুনা খোকন ও ফরহাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। এর ধারবাহিকতায় আরও কিছু নমুনা সংগ্রহের জন্য পলাশবাড়ি এলাকায় তার একত্র হন। এসময় দেনা পাওনা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এসময় স্থানীয়রা তাদের আটকে রেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান নয়ন বাংলানিউজকে জানান, পূর্বের নমুনার বকেয়া সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সাপের বিষ কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তবে তাদের কাছ থেকে সাপের বিষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে ৬৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এনটি