বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-তৃতীয় এর বিচারক মুহা. আবু তাহের এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন-নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার আমলাব সাহাপাড়ার জাহেদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম ও মমরুজ ভূঞার ছেলে জুয়েল ভূঞা।
আদালত ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বেতাগিয়া গ্রামের গৃহবধূ দীপালি বেগম দীপার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় নজরুল ও জুয়েলের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। দীপা তার টাকা চাইলে তারা দীপাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১ আগস্ট তারা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে দীপা ও তার পাঁচ বছরের ছেলে বশিরকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুরে মাজার শরীফে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা মাজারের কাছে নদীর পাড়ে নিয়ে বশির ও দীপাকে পিটিয়ে ও পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে মরদেহ নদীর পাড়ে ফেলে রেখে যান।
তাদের মরদেহ উদ্ধারের পর কুলিয়ারচর থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে নজরুল ও জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন বিচারক মুহা. আবু তাহের।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক এবং তাকে সহায়তা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাশেদুজ্জামান এনাম ও অ্যাডভোকেট জেসমিন আরা রোজী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসআই