বৃহস্পতিবার ( ১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি দুদকের নির্ভরশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের জমাকৃত এমভি নওফেল লিহান জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য ফখরুল ইসলাম ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
অভিযোগকারী এ এন এম বদরুল আলমের কাছ থেকে নিজ দফতরে বসে আসামি এ কে এম ফখরুল ইসলাম যখন ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। সে সময় দুদকের বিশেষ টিমের সদস্যরা ৫ লাখ টাকা ঘুষসহ তাকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, ওই টাকা কমিশন কর্তৃক পূর্বেই ইনভেন্টরি করা টাকার নম্বরের সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া যায়। ফলে অভিযোগকারী এ এন এম বদরুল আলমের কাছ থেকে ফখরুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ তদন্তকালে প্রমাণিত হয়েছে।
ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় চলতি বছরের ১৮ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর উপ পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম। তদন্তকালে কর্মকর্তারা ঘুষ নেওয়ার সব তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসজে/এসএইচ