দিনের পর দিন সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পথচারীদের। ফলে একবার এ সড়ক দিয়ে কেউ গেলে দ্বিতীয়বার যেতে চান না।
স্থানীয়রা জানান, ময়মনসিংহ-ফুলবাড়ীয়া সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। পাশের টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল, মধুপুর, সখিপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারাও চলাচলে এ সড়ক ব্যবহার করেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে সড়কটির একেবারেই নাজুক অবস্থা।
তাদের অভিযোগ, গত ২/৩ বছরে নামমাত্র সংস্কার কাজ হয়েছে এ সড়কে। জোড়াতালির এ সংস্কার কাজ বৃষ্টিতেই শেষ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ সড়কের কোথাও কোথাও এখন পিচের চিহ্নও নেই। ইট-সুঁড়কিও উঠে গেছে অনেক স্থানের।
সদর উপজেলার কসাইবাড়ি ও দাপুনিয়া বাজার এলাকার কয়েক কিলোমিটারে ছোট-বড় বেশ কিছু গর্ত তৈরি হয়েছে। এ দু’টি স্পট পাড়ি দিতে গলদঘর্ম হতে হয় যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। কোনো কোনো সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন গাড়ির চালক ও মালিকরা।
প্রায় একই অবস্থা এ সড়কের কাতলাসেন বাজার, দেওখোলা বাজার, লক্ষীপুর বাজার, দশমাইল বাজার, ১১ মাইল বাজার, ভালুকজান, ফুলবাড়ীয়া বাজার ও ফুলবাড়ীয়া ফায়ার সার্ভিস এলাকার।
স্থানীয়রা আরো জানান, ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সদরের সড়কেরই বেশি করুণদশা। গ্রাম থেকে উপজেলা সদরে সেবা নিতে আসা স্থানীয় জনসাধারণকে অন্তহীন দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে কাঁদা আর পানিতে একাকার এ সড়ক দিয়ে হাঁটারও জো থাকে না।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেন ক্ষোভ নিয়ে বলেন, এমন নষ্ট সড়কে গাড়ি চালানো কঠিন কাজ। হরহামেশাই নষ্ট হচ্ছে গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লীরা তরফদার বাংলানিউজকে জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগকে এ সড়কটি সংস্কারে বারবার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এ সড়ক নিয়ে বহুবার কথা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজই হয়নি। ভোগান্তি নিয়েই আমাদের পথ চলতে হচ্ছে’।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি প্রজেক্টে ঢোকানো হয়েছে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে শিগগিরই পাস হবে। এরপর টেন্ডার হবে। তখন কাজ শুরু হলে মানুষের দুর্ভোগের নিরসন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এমএএএম/এএসআর