বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ির মধুপল্লীতে বেড়াতে এসে এ কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
হাইকমিশনার বলেন, মাইকেল ফিরেছেন শুধুমাতৃভাষার টানে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িকে ঘিরে ভারত সরকার যে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তা বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে। যদি মাইকেল মধুসূদনের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ির উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার আবেদন করে সেক্ষেত্রে ভারত সরকার অবশ্যই বিবেচনা করবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে অসংখ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে। ভারত এর সমর্থন করে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছে। এছাড়া প্রায় ৬ লাখ অসহায়-নির্যাতিত রোহিঙ্গার জন্য ভারত সরকার সর্বোচ্চ মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে এক হাজার টন ত্রাণ দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজদেশে পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশের পাশে থেকে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য স্বপন কুমার ভট্টাচার্য, ভারতীয় হাইকমিশনরে রাজনৈতিক সচিব নবনীতা চক্রবর্তী, রেলওয়ে উপদেষ্টা দীব্বাঞ্জন রায়, কাউন্সেলর প্রেস, তথ্য সংস্কৃতি অরুন্ধতী দাশ, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আমীর হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কবির হোসেন, কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএম আনোয়ার হোসেন, মধুপল্লীর কাস্টোডিয়ান মহিদুল ইসলাম, ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের উপকমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান, মধুসূদন গবেষক ও কবি খসরু পারভেজ, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
ইউজি/এএ