ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রশ্ন ফাঁস কমেছে: শিক্ষামন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
প্রশ্ন ফাঁস কমেছে: শিক্ষামন্ত্রী

সংসদ ভবন থেকে: সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস অনেকাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। 

তিনি বলেছেন, গত কয়েক বছর ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আগে বিজি প্রেস ছিলো বিপজ্জনক জায়গা।

বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে এখন আর সেখান থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে না

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) কামাল আহমেদ মজুমদার ও ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির পৃথক দু’টি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।  
 
কোচিং বন্ধ ও প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সম্পূর প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, পরীক্ষার আগে অর্থাৎ সকালে কিছু শিক্ষকের হাতে প্রশ্ন দেওয়ায় তা ফাঁস হয়েছে। এখন এটা হচ্ছে না। সম্প্রতি এ নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
 
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশের নিয়ম করা হয়েছে। শিক্ষকদেরও মোবাইল ফোন বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনে পাওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
সরকারি দলের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের ৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।  

‘পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। এছাড়া যারা প্রশ্ন ফাঁসের অপপ্রচার চালায় তাদের বিরুদ্ধেও ইতোমধ্যে মামলা করা হয়েছে। ’
 
তিনি জানান, এখন প্রশ্নপত্র প্রণেতা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে উপস্থিত থেকে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করছেন। প্রণয়নকারীর ও পরিশোধনকারীর গোপনীয়তা রক্ষায় শপথ এবং এ বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ বোর্ডের মডারেশন কক্ষে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে।
 
আরও পড়ুন>>
** 
গৃহকর বাড়ানোয় এমপি-মন্ত্রীদের ক্ষোভ

চট্টগ্রামের পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করতে তিন বছর আগে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপরও যেসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

এছাড়া আইনী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হলে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।