এদিকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কুল ছাত্রীটিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শিবচর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের এক ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ১ হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে দেড় বছর ধরে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছিলেন নুরুল আমিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অভিযুক্ত সুজন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সুজন ওই ছাত্রীকে পড়াতে যান। এসময় ওই ছাত্রীর বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় সুজন মেয়েটিকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করে। কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে মেয়েটির দাদী হঠাৎ ঘরে ঢুকলে সুজনকে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
চিৎকারের শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে আহতাবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। শুক্রবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিষয়টি থানায় জানালে রাতেই সুজনকে আটক করে পুলিশ। সুজন উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের ধলু মোল্যার ছেলে।
শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাজাহান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত কলেজছাত্রকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ