শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা হেড কোয়ার্টারের গোপনীয় শাখায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল শিলু মিয়া বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ শহরের পালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. বাঁধন (১৯), রেলওয়ে কলোনি এলাকার মোমিনুল ইসলাম বারি (৩৫) ও মোহাম্মদ জনিকে (৩৫) গ্রেফতার করে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) এমদাদ হোসেন মামলা বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার বাসিন্দা শিলু মিয়া পুলিশ হেড কোয়ার্টার গোপনীয় শাখায় কর্মরত রয়েছেন। গত ১১ নভেম্বর ঢাকা যাওয়ার জন্য তিনি বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনে যান। সেখানে ট্রেন বিলম্বে পৌঁছাবে এমন সংবাদ পেলে শিলু তার এক বন্ধুর সঙ্গে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ীর পালপাড়ার একটি বাসায় যান।
এ সময় বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহীম হোসেনসহ কয়েকজন যুবক ওই বাসায় গিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ করেন। এ সময় শিলু নিজেকে পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতিবাদ জানালে তাকে মারধর করে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি