এই ফলাফলের ওপর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশকে কৌশল প্রণয়নসহ মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন দুই সাবেক কূটনীতিক।
রেজ্যুলেশনে মিয়ানমারের ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন পুনর্বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩১ অক্টোবর থার্ড কমিটিতে ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শিরোনামে মিশর এই খসড়া রেজ্যুলেশনটি জমা দেয়।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জেনেছি বিশ্বের বেশীরভাগ দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে।
ভোটদানে যারা বিরত ছিল তাদের মধ্যে ভারত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমস্যা কিন্তু ঘুরে ফিরে ভারত, চীন ও রাশিয়াকে নিয়েই। এ সমস্যা থেকে আমরা বেরুতে পারিনি। ভারত ভোটদানে বিরত ছিল। কিন্তু এটা বাংলাদেশের জন্য এমনই জীবন-মরণ সমস্যা যে, বিরুদ্ধে ভোট দেবার মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। ভারত শেষ পর্যন্ত এই রেজ্যুলেশনকে সামর্থনই করেনি।
এর পরেও এতোগুলো দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন করছে যার সরাসরি একটা ছবি দেখা গেছে।
এটিকে এগিয়ে নিতে আরো অনেক পথ যেতে হবে। মিয়ানমারের ওপর যদি সত্যিকারের চাপ সৃষ্টি করা না যায় তাহলে নীতিগত জয় দিয়ে কাজ হবে না বাংলাদেশের। কারণ আমাদের পেছনে ফেরার আর কোনো পথ নেই।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান তাদের অবস্হান পরিষ্কার করে দিয়েছে। রেজ্যুলেশনের ক্ষেত্রে তারা ভোট দেয়নি। যারা ভোট দিয়েছে তারা আগে থেকেই আমাদের পক্ষে ছিল। তবে এটা নতুন কিছু নয়।
বাংলাদেশের জন্য প্রশ্ন হল, সামনে কীভাবে এগুবে, সেটা চিন্তা করতে হবে। এ ফলাফলে একটা নিশানা পাওয়া গেলো, কার কী অবস্থান এ ইস্যুতে। প্রকাশ্যে ভোট হওয়ার পরই এটা দেখা গেলো। তাই এখন কী সিদ্ধান্ত নেবেন এবং এটাকে কিভাবে উৎরে যাবেন সেটির জন্য কৌশল প্রণয়ন করতে হবে।
এ প্রস্তাবের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থানের চেহারাও পাওয়া যায়। চীন ও ভারত বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিলেও এই চেহারাটা থাকত নীতিগত পর্যায়ে। বাস্তবায়ন পর্যায়ে গিয়ে বাংলাদেশ কীভাবে তা করবে তা অন্য প্রশ্ন। কিন্তু এতোগুলো দেশ বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিয়েছে, এই চাপটা কাজে লাগতে হবে।
আপনার নিজের যোগ্যতার ওপর নির্ভর করছে- এ চাপটাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে। এটা একটা বড় অগ্রগতি। যে যায়গায় আরো কাজ করার সুযোগ আছে, সেগুলো খুঁজে বের করে এখনই নেমে পড়তে হবে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
কেজেড/জেডএম