এদিকে ওই ছাত্রীর প্রাক্তন শশুরকে আটক করে তাকে নিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সমানে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো-ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ছাত্রী হলগুলোর সামনে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো, সব হলের গেটে এবং ক্যাম্পাসে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা, ছাত্রী হলের সান্ধ্য আইন বাতিল করা, সব হলে অভিভাবক প্রবেশের অনুমতি দেয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করা।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হল থেকে ছাত্রীরা বের হতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে পড়েন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা সেখানে আসেন। তিনি ছাত্রীদের বলেন, ওই ছাত্রীর অবস্থান জানা গেছে। খুব তাড়াতাড়ি তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান তাপসী রাবেয়া হলে প্রবেশ করেন। অপহৃত ওই ছাত্রীকে দ্রুত ফেরাত আনার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেন। একপর্যায়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী ওই হলের সামনে আসেন।
পরে ওই হলের গেটে ধাক্কাধাক্কি ও স্লোগান দিতে থাকলে ছাত্রীদের বের হতে দেন প্রক্টর। সেখান প্রায় দুইশত ছাত্রী বের হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রায়েরা হলের সামনে থেকে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রীকে ‘অপহরণ’ করা হয়। ওই ছাত্রীর প্রাক্তন স্বামী সোহেল রানা ও তার সহযোগীরা মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, নওগাঁর পত্নীতলার নিজ বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীর প্রাক্তন শশুরকে আটক করা হয়েছে। তাকে নিয়ে অপহৃতকে উদ্ধারে পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ