শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধের ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রিয়াংকা উপজেলার বরাব এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের মেয়ে। সে স্থানীয় হাজি আয়েত আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
মানববন্ধনে অংশ নেন- আয়েত আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও হাজি এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
এতে বক্তব্য রাখেন- আয়েত আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা পারভীন, সহকারী শিক্ষক কৃষ্ণপদ সাহা, ক্রিয়া শিক্ষক লুৎফর রহমান, টিপু মোল্লা, আবু হানিফ, তাইজুদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, আকতারুজ্জামান, স্কুল কমিটির সদস্য কবির মোল্লা, রিয়াজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর, খোকা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রিয়াংকা ভালো ছাত্রী ছিলো। সকল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রিয়াংকা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও ব্যস্ত সময় পার করতো। নরপিশাচের মতো যারা তাকে হত্যা করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রিয়াংকা হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে অবরোধকারীদের আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেন তারা।
৫ নভেম্বর সকালে বরাব কবরস্থান এলাকার পানির ড্রেন থেকে প্রিয়াংকার জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় প্রিয়াংকার বাবা মহিউদ্দিন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল্লাহ ডাকাত, হাসান ও উদরুতউল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া সুজন নামে আরো একজন পলাতক রয়েছেন।
এর আগে প্রিয়াংকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মাসুম মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
টিএ