শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নির্যাতিত ওই নারীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকা থেকে ওই নারীকে অপহরণ করে রাতভর গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ তার স্বজনদের।
নির্যাতিত নারী কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি গ্রামের এক দরিদ্র কৃষকের মেয়ে। তার ছয় ও আট বছর বয়সী দু’টি ছেলে-মেয়ে রয়েছে। আর আবুল কালাম পার্শ্ববর্তী তোরাবগঞ্জ এলাকার আনোয়ার আলীর ছেলে।
স্বজনরা অভিযোগ করেন, ১০ বছর আগে আবুল কালামের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে একাধিকবার নানা অজুহাতে যৌতুক নেন কালাম। এরপর আরও যৌতুকের দাবি করতে থাকেন তিনি। গত বছর ৫০ হাজার টাকার যৌতুকের জন্য চাপ দেন তিনি। টাকা না দেওয়ায় নির্যাতন করতে থাকেন স্ত্রীকে।
‘উপায় না দেখে আদালতের মাধ্যমে ছয় মাস আগে কালামকে তালাক দেন তার স্ত্রী। এর জের ধরে ওই কালাম তার আরও তিন বন্ধুকে নিয়ে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে চুল কেটে নির্যাতন, মারধর ও গণধর্ষণ করেন। ’ বলেন স্বজনরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারীর স্বজনরা সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাহপুর গ্রামে ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হন ওই নারী। সন্ধ্যায় তোরাবগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কালাম তার তিন বন্ধুকে নিয়ে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিজের বাড়ির একটি ঘরে বন্দি করে রাখেন। এসময় তাকে মারধর ও চুল কেটে নির্যাতন করেন। পরে তারা রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন সেই নারীকে। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভোরে তারা ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই নারীর মা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্যাতিত ওই নারীর চিকিৎসা চলছে। ধর্ষণের বিষয়টি পরীক্ষা করলে জানা যাবে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। বিষয়টি শুনেছি। জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এইচএ/