শনিবার ( ১৮ নভেম্বর) রাতে শুল্ক গোয়েন্দার নির্ভরশীল একটি সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সূত্রটি জানায়, দুবাই থেকে নাইনডব্লিউ ২৭২ একটি ফ্লাইটে দুপুরের দিকে শাহজালালে অবতরণ করেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ইমাম হোসেন, শরীয়তপুরের কামাল হোসেন ও মানিকগঞ্জের সালাম।
এরপর যাত্রী ইমাম হোসেন দুই নাম্বার বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহ করে স্ক্যানিং ফাঁকি দিয়ে গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করে চলে যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করা হয়। পরবর্তীতে কাস্টমস হলে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তার সঙ্গে থাকা একটি লাগেজ খুলে ৪৮ কার্টন আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়। সিগারেটগুলো ব্যানসন ও হেজেস ব্র্যান্ডের।
সূত্র আরও জানায়, একই ফ্লাইটে আসা যাত্রী কামাল হোসেন ও সালামের পকেট ও মানিব্যাগ থেকে ৪৪৮ গ্রাম স্বর্ণেরবার জব্দ করা হয়।
আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী সিগারেট প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ লেখা ছাড়া বিদেশি সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ। সিগারেটের উপর উচ্চ শুল্ক (প্রায় ৪৫০ শতাংশ) পরিহারের জন্যই এসব সিগারেট আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জব্দ হওয়া পণ্যের শুল্ককরসহ মূল্য প্রায় ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। জব্দ করা পণ্যের বিষয়ে শুল্ক আইনে ১৯৬৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮,২০১৭
এসজে