শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিনগত রাতে তোরাবগঞ্জ এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে রাত ১১ টার দিকে নির্যাতিত ওই নারীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
গ্রেফতার বাবলু তোরাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে ও কালামের বন্ধু।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এর আগে গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) কমলনগরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে তিনবন্ধু মিলে ধর্ষণ করে আবুল কালাম (৩৫)। পরে ওই নারীর চুল কেটে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নির্যাতিতাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনেরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্যাতিত নারী উপজেলার চর কালকিনি গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে। পার্শ্ববর্তী তোরাবগঞ্জ এলাকার আনোয়ার আলীর ছেলে আবুল কালামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ছয় ও আট বছর বয়সী দু’টি ছেলে-মেয়ে রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের ১০ বছর পরও যৌতুকের দাবিতে নানা সময় ওই নারীকে নির্যাতন করে কালাম। বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা দেওয়া হলেও গত বছর ফের ৫০ হাজার টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন তিনি। এক পর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে ওই নারী বাবার বাড়ি চলে যান।
পরে এ নিয়ে আরও ঝামেলার সৃষ্টি হয়। তখন কালামকে তালাক দেন তিনি। আর এর জের ধরেই তাকে গণধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার স্বজনেরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএ/