রোববার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
চাল আমদানিতে শুল্ক উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কার স্বার্থে-এমপি রুস্তম আলী ফরাজীর এমন প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, চাল আমদানির ওপর কোনো সময়ই শুল্ক ছিলো না।
‘মোট ২৮ ভাগ পর্যন্ত শুল্কারোপ করা হয়েছিলো। এতে কৃষকরা খুশি হয়েছিলেন, তারা ন্যায্য মূল্য পেয়েছেন। কিন্তু এবার হাওরে ও উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় যে টার্গেট ছিলো তা পূরণ হয়নি। ২০ লাখ টন চাল ঘাটতি দেখা যায়। তাই শুল্ক কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ’
আরও পড়ুন>>
** দেশের মোট রপ্তানির ৮২ শতাংশ তৈরি পোশাক খাতের
তিনি বলেন, যেসব দেশ বাংলাদেশে চাল রফতানি করে তারা দেখলো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখানকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে এখন চাল প্রয়োজন, তাই তারাও দাম বাড়িয়ে দেয়। এরপর আমরা শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিই।
‘প্রথমে ১০ শতাংশ কমানোর পর না হওয়ায় আরও ১৬ শতাংশের দাম কমিয়ে এখন মাত্র ২ শতাংশ শুল্ক রাখা হয়েছে। এটা করার পর বর্তমানে চালের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। ’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, শুল্ক কমানোর পর তা কার্যকর করতে ১৫ দিন সময় লেগে যায়। ওই সময় আমদানি করা চালের ট্রাক অসাধু ব্যবসায়ীরা বর্ডারে অপেক্ষায় রাখে। শুল্ক কমলেই আমদানি করে লাভবান হবে এই আশায়। এরপর মিডিয়াতে আকস্মিক খবর এলো ভারত চাল রফতানি করবে না বাংলাদেশে।
‘এই একটা মিথ্যা সংবাদে চালের দাম বেড়ে গেলো। কিন্তু যারা সুযোগ নিয়ে মজুদ করে দাম বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বাস্তবতার নিরিখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এসকে/এমএ