রোববার (১৯ নভেম্বর) দিনগত পৌনে ৮টার দিকে সদর উপজেলার দস্তানাবাদ ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আলম সদর উপজেলার দস্তানাবাদ ফকিরপাড়া গ্রামের সাহাদত হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শাহ আলম একজন মাদক সেবী। মাঝে মধ্যে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাবা-মাসহ বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতো। এছাড়া তাদের বসতভিটা তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য বাবা-মাকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
রোববার রাত আনুমানিক পৌনে আটটার দিকে নেশার জন্য টাকা নেওয়া এবং বসতভিটা লিখে নেওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে শাহ আলমের সঙ্গে বাবা-মায়ের ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে প্রথমে তার মাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তার ছেলে আলিফ হোসেন দাদি বিলকিসের কোলেই বসে ছিল। সেসময় তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে এবং এক পর্যায়ে গলা কেটে ছেলেকে হত্যা করে।
এসময় বাবা সাহাদত হোসেন তাদের উদ্ধারে এগিয়ে এলে তার ওপরও চড়াও হন শাহ আলম। এসময় বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। আর মা বিলকিস বেগম ঘটনাস্থলে মারা যান।
এসময় শাহ আলম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে আটক করে বেধে রেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
আহত সাহাদত হোসেনকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তবে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটক শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য জানা যাবে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
আরবি/ওএইচ/