রোববার (১৯ নভেম্বর) রাতে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের চ্যান্সেরি ভবনে ‘দ্যা বেঙ্গলী: অ্যা পোট্রিয়েট অব অ্যা কমিউনিটি’ এবং ‘দ্যা ইপিক সিটি: দ্যা ওয়ার্ল্ড অন দ্যা স্ট্রিটস অব কলকাতা নামের দু’টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, রেহমান সোবহান ও দুই বইয়ের লেখক সুদীপ চক্রবর্তী এবং কুশনাভা চৌধুরী বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
ডি এম মুলায় বলেন, আমরা অনেক কিছুতেই শুধু মাত্র ওকে বলে থাকি। ভাষাগত বৈচিত্র রক্ষা করতে হবে। সব ভাষাকে ভালোবাসার মাধ্যমেই টিকিয়ে রাখা যায়।
নিজের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আমি মারাঠি পরিবেশে বড় হয়েছি। আমার মা ছিলেন অশিক্ষিত আর বাবা মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পযর্ন্ত লেখাপড়া করেছেন। আমি একজন কৃষকের সন্তান হয়ে ১৯৮৩ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেই। আমি যখন মারাঠি ভাষায় চিঠি লিখতাম তখন মাকে কেউ পড়ে শোনাতেন। ভাষাটা যে কত গুরুত্বপূর্ণ তখন থেকেই অনুধাবন করি।
তিনি আরো বলেন, ভাষাই আমাদের জন্য সবকিছু। তবে আমরা ভারতীয় উপমহাদেশের লোক সবই ভাগ্যবান, যে আমরা বহু ভাষা জানি। সবাই একসঙ্গে এই ঐতিহ্য নিয়ে বড় হয়েছি। সবাই আমরা অনেকগুলো ভাষা বুঝতে পারি।
দ্যা বেঙ্গলী: অ্যা পোট্রিয়েট অব অ্যা কমিউনিটি’ বইয়ের লেখক সুদীপ চক্রবর্তী (Sudeep Chakravarti) গল্প এবং ছোট গল্পের একজন জনপ্রিয় লেখক। তার লেখা গল্পগুলো ভারত এবং বর্হিবিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। তার লেখা বইগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুদৃত হয়েছে।
সুদীপ চক্রবর্তী শুধু একজন লেখকই নয়, ভারতের প্রথম সারির বক্তাদের একজন। তার বক্তব্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- গণতন্ত্র উন্নয়ন, রাজনৈতিক-অর্থনীতি এবং মানবাধিকার প্রভৃতি। কলামিস্ট হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। তিনি ভারতের প্রথম সারির কলামিস্টদের একজন। তিনি বর্তমানে তামিল নাড়ুর ভেলিয়াঙ্গারি পর্বতমালা এবং গুয়া বসবাস করেন।
‘দ্যা ইপিক সিটি: দ্যা ওয়ার্ল্ড অন দ্যা স্ট্রিটস অব কলকাতা বইয়ের লেখক কুশনাভা চৌধুরী (kushanava Choudhury)। তিনি কলকাতা এবং নিউজার্সিতে বেড়ে উঠেছেন। এ খ্যাতিমান লেখক ইয়াল ইউনির্ভাসিটি থেকে রাজনৈতিক তত্ত্বের উপর পিএইচ ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে কুশনাভা চৌধুরী ‘দ্যা স্টেটমেন্ট ইন কলকাতায় রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এসএম/ওএইচ/