নারী ইউএনওদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার জিনাত জাহান, নাগরপুরের আসমা শাহীন ও কালিহাতীর শাহীনা আক্তার প্রশাসনের ২৭তম, গোপালপুরের দিলরুবা শারমিন, সখীপুরের মৌসুমী সরকার রাখী ও মির্জাপুরের ইসরাত সাদমীন ২৮তম এবং বাসাইলের শামছুন নাহার ও ধনবাড়ীর আরিফা সিদ্দিকা ৩০তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ।
উপজেলার সকল বিভাগের কাজকর্মের সমন্বয় ও দায়িত্ব তদারকি এবং জেলার সঙ্গে সমন্বয় করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছেন এই নারী কর্মকর্তারা।
ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়ন, সরকারের স্থায়ী আশ্রয়ণ, আদর্শ গ্রাম ও আবাসন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং অসহায় মানুষদের বিভিন্ন আশ্রয়ণে সংস্থান করে যাচ্ছেন তারা
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ছাড়াও সাধারণ, রাজস্ব, ফৌজদারি ও উন্নয়ন প্রশাসনেরও দায়িত্ব পালন করছেন তারা। মাদক-জঙ্গিমুক্ত উপজেলা গড়া এবং যৌতুক-বাল্যবিয়ে রোধেও তাদের ভূমিকা সর্বস্তরে প্রশংসিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষপদে থাকা ওই নারী ইউএনওরা জানান, দেশের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সামাজিক সমস্যা দূরীকরণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে ও সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত জাহান বাংলানিউজকে বলেন, ‘জেলায় এখন মাঠ পর্যায়ে ৮ জন ইউএনও দায়িত্ব পালন করছেন। টাঙ্গাইল সদরের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছি। মাঠ পর্যায়ে সমস্যা হলেও সেগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করি। এতে সফলতা আসে’।
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, ‘কাজ তো কাজই, কোনো সমস্যা হচ্ছে না। যে কাজ পুরুষরা করতে পারেন, তা নারীরাও করতে পারেন। প্রশাসনে তৃণমূল পর্যায়ে এখন নারীদের কর্মক্ষেত্র ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে’।
ইউএনও হিসেবে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে অনেক লজিস্টিক সাপোর্ট পেয়ে থাকি। এতে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি’।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এএসআর