সোমবার (২০ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এ নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে শিল্প কারখানার পরিবেশ ও শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা উঠলে তাদের বেতন-ভাতা বাড়াতে মজুরি কমিশন পুনর্গঠনের প্রস্তাব দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, শ্রমিকদের অবস্থা এখন ভালো, তারা ভালো বেতন পান। শিল্প কারখানাগুলোতে ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সবুজায়ন হয়েছে।
এ সময় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ভালো পরিবেশ বিরাজ করছে, শ্রমিকদের অবস্থাও ভালো। তবে তাদের বেতন-ভাতা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে তাদেরও দাবি আছে, তারা এটি প্রত্যাশা করেন।
সূত্র আরও জানায়, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু পরে বলেন, ‘বর্তমানে শ্রমিকরা ৭/৮ হাজার টাকা বেতন পান। শিল্প শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রত্যাশা আছে, তাদের বেতন আরেক ধাপ বাড়ুক। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বেড়েছে, শ্রমিকদেরও আর একটু বাড়া উচিত। এক্ষেত্রে মজুরি কমিশন পুনর্গঠন করা যেতে পারে’।
‘শ্রম আইন অনুসারে প্রতি ৫ বছর পর পর মজুরি কমিশন পুনর্গঠনের বিধান রয়েছে। যদিও বাধতামূলক নয়, তারপরও এটি করা যেতে পারে। সর্বশেষ মজুরি কমিশন গঠিত হয়েছিলো গত ২০১৩ সালে। এর ৫ বছর পূর্ণ হবে আগামী বছর ২০১৮ সালে। যেহেতু সরকারি কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে, শ্রমিকদেরও বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে’।
সুত্র জানায়, মন্ত্রীদের এসব মতামত শুনলেও কোনো মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার বিষয়টিও উঠলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাইরের লোকেরা এসে অনেক সময় ট্রেড ইউনিয়ন করেন, শ্রমিকদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আসলে বাইরে থেকে এসে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ নেই। যারা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, তারাই ট্রেড ইউনিয়ন করেন। তবে অনেক সময় এনজিওগুলো গিয়ে শ্রমিকদের ভুল বোঝায়, তাদের কল্যাণের কথা বলে বিদেশ থেকে তহবিল আনে। কিন্তু তারা যে উদ্দেশ্যে আনে, সে উদ্দেশ্যে ব্যয় করে কি-না- এনজিও ব্যুরোর তা পর্যবেক্ষণ করা উচিত, সেটি হয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই এটি পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
বাংলাদেশ সময় ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এসকে/এএসআর
** রংপুর ও গাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন অনুমোদন