সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সোয় ৩টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাসানুজ্জামান এ রায় দেন।
সাজার আদেশপ্রাপ্তরা হলেন-সিংড়া উপজেলার ধুলিয়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলী মোল্লার ছেলে আব্দুস সালাম মোল্লা (৩০) এবং তার বন্ধু একই গ্রামের আব্দুস সাত্তার সোনারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩১)।
নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী পাবলিক প্রসিউকিটর (এপিপি) মো. আব্দুল হাই বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর সিংড়া উপজেলার নুরপুর গ্রামের আবু তালেব বেপারীর মেয়ে জাহানারা বেগমের (২০) সঙ্গে একই উপজেলার ধুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্লার বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই যৌতুক নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়।
পরে একই বছরের ১ ডিসেম্বর দিনগত রাতে আব্দুস সালাম মোল্লা তার স্ত্রী জাহানারাকে নিয়ে একই গ্রামে বন্ধু সাইফুলের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। আর বন্ধু সাইফুল ইসলাম ওই গ্রামের একটি পুকুরের কাছে তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্দুস সালাম ও সাইফুল দু’জনে মিলে ১১টার দিকে সালামের স্ত্রী জাহানারকে গলা কেটে হত্যা করে ওই পুকুরে ফেলে দেয়। পরের দিন সকালে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ওই পুকুর থেকে জাহানারার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর জাহানারার বাবা আবু তালেব বেপারী বাদী হয়ে স্বামী আব্দুস সালাম মোল্লা, বন্ধু সাইফুল ইসলাম ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) খিতিশ চন্দ্র সাহা তদন্ত শেষে আসামি আব্দুস সালাম মোল্লা ও সাইফুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.হাসানুজ্জামান আব্দুস সালাম মোল্লা ও তার বন্ধু সাইফুলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ২০ নভেম্বর, ২০১৭/আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা
আরএ