সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সংসদে প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা না বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করছে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরেও চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় থাকছে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়বে। এতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানিয়েছিলেন। চাকরিপ্রার্থীরাও এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করে আসছিলেন।
***সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৫৯ হাজার শূন্য পদ
*** দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা চায় বাংলাদেশ
*** নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপল সম্পর্কে বিবৃতি দাবি সংসদে
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এসএম/এএ