ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অপহৃত ২ শিশু দিনাজপুরে উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অপহৃত ২ শিশু দিনাজপুরে উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের দক্ষিণচরা এলাকা থেকে শনিবার নিখোঁজ হওয়া দুই স্কুলছাত্রকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে তাদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার রাতে এ ঘটনায় অপহরণকারী সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়।

‌উদ্ধারকৃত স্কুলছাত্ররা হলো-দক্ষিণচরা এলাকার আব্দুল হান্নানের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সায়েম (১১) ও একই এলাকার মৃত শীষ মোহম্মদের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইমন (১২)। তারা দু’জন সম্পর্কে খালাত ভাই।

শনিবার বিকেল চারটার দিকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পর তারা বাড়ির কাছে নতুন মহানন্দা সেতুতে বেড়ানোর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় সায়েমের বাবা আব্দুল হান্নান পরদিন রোববার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। এরপর পুলিশ শিশু দু’জনকে খুঁজে বের করতে তৎপরতা শুরু করে।

রোববার রাতে এ ঘটনায় অপহরণকারী সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাবের রেজা জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে স্থানীয়রা প্রথমে দু’জন শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। সেসময় তারা দিনাজপুরের বিনোদন কেন্দ্র ’স্বপ্নপুরী’ যেতে চাচ্ছিল। তারা ঠিকানা বললে স্থানীয়রা দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় খবর দেন।

নবাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় খবর দেয়া হয়। পরে তাদের নিকটস্থ ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সংবাদ পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি দল শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে করে দুপুরে শিশু দু’জনকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেরৎ আনতে দিনাজপুর রওনা হয়েছে বলে জানান ওসি।

শিশু দু’জন ফেরত এলে তারা কীভাবে নিখোঁজ হল ও দিনাজপুর গেল তা জানা যাবে বলেও ওসি জানান। তবে আটক ব্যক্তির তদন্তের স্বার্থে তার নাম ঠিকানা গোপন রাখা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ২০ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।