সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় আটক সোহেল খান (৩২) নামের ওই যুবককে দুপুরে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
মারধরের স্বীকার সোহেল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নলবুনিয়া এলাকার সায়েস্তা খানের ছেলে।
তিনি জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১১ নভেম্বর তার মা মিনারা বেগমকে (৬০) শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ তলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ইউনিট-১ এর আওতায় ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তার মায়ের নাম দুইদিন আগে কেটে দেওয়া হলেও কোনো ছাড়পত্র না পাওয়ায় সকালে সেবিকাদের কক্ষে যোগাযোগ করেন।
তাদের পরামর্শে চিকিৎসকদের কাছে গেলে ইন্টার্নরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কক্ষের দরজা আটকে তাকে মারধর করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইন্টার্ন ডক্টরস্ আ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নাহিদ জানান, মেডিসিন-১ ইউনিটে চিকিৎসকদের লাঞ্চিত ও মারধর করতে গেলে এক যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) সত্যরঞ্জন খাসকেল জানান, উভয়পক্ষকেই অভিযোগ দিতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু কোনো পক্ষই অভিযোগ না দেওয়ায় দুপুরের পরে সোহেলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এমএস/আরআর