ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এমপি বাদলের সমালোচনায় নৌমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এমপি বাদলের সমালোচনায় নৌমন্ত্রী

সংসদ ভবন থেকে: চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদে নিয়োগ নিয়ে জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদলের অভিযোগে চটেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। তাই তার অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

রোববার সংসদ অধিবেশনে চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদে নিয়োগে নিয়ে প্রশ্ন তুলে মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, এই বন্দরের সাথে চট্টগ্রামবাসী নানাভাবে যুক্ত, অথচ সেই বন্দরে একটি ছোট চাকরি হবে লস্করের। সেখানে দেখা যায় লস্করের চাকরিতে ৯২জন নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন মাত্র চট্টগ্রামের আর বাকি ৯০ জন অন্য একটি জেলার। এখানে একটি জেলার কথা বলা হয়েছে। তিনি এও উল্লেখ করেছেন এটাই কী সময় হলো? চট্টগ্রামের মাত্র ২ জনকে চাকরি দেওয়া হবে, বাকিদের একটি জেলায় নয় সারাদেশে ভাগ করে দেওয়া হবে?

সোমবার (২০ নভেম্বর) রাতে সংসদ অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দেওয়ার সময় বাদলের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন নৌমন্ত্রী।

শাজাহান খান বলেন, সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদলের বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর। কারণ সেখানে ৯২ জন নয় চাকরি দেওয়া হয়েছে ৮৫ জনকে। চাকরির বিধান মোতাবেক তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।

এ সময় চাকরির বিধান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শ্রেণী বাদে অন্যান্য পদে লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পর যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পান তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়। শুধুমাত্র ৪র্থ শ্রেণীর বেলায় যারা মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করে, যাদের স্বাস্থ্যগত দিক ভালো তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। তাছাড়া আমরা প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণ করি। কোটা তালিকা উল্লেখ করে বলেন- মুক্তিযোদ্ধা কোটায়-৩০, মহিলা কোটা-১০, উপজাতি-৫, আনসার ভিডিপি-৫ , প্রতিবন্ধী-৫ এবং জেলা কোটায় ৪৫ জন।  

তিনি বলেন, চাকরি দিলাম ৮৫ জনের বলা হলো ৯২ জন। আর কোটায় দিলে চট্টগ্রামে আগামী ৩০ বছরেরও চাকরি দেওয়ার কথা নয়। তবে যেহেতু বন্দরটি চট্টগ্রামে তাই তাদের ক্ষেত্রে জেলা কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আমরা বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৯ জনকে চাকরি দিয়েছি। এরমধ্যে চট্টগ্রামের ২৩ জন, কক্সবাজারে ৪ জন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ২ জন। অন্যান্য জেলার মধ্যে নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, পাবনা, বগুড়া, খুলনা, মাগুড়ার লোক রয়েছে।

শাজাহান খান বলেন, বর্তমান সরকারে আমলে চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ হাজার ১০০ জন লোকের চাকরি দেওয়া হয়েছে। কখনো কোনো অভিযোগ ওঠে নাই। এখন কেন এই অভিযোগ? অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল। তিনি সুপারিশ করেছিলেন মনসুর আলী, পিতা সিরাজুর রহমান। যার রোল নং-জে০১৪৩২। এই ছেলেটির চাকরি তার অনুরোধে দেওয়া হয়েছে। এখানে যেহেতু শুধু মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় তাই অন্য মন্ত্রী-এমপিদের অনুরোধ করলে সেটাও বিবেচনা করি। এখানে কারা কারা সুপারিশ করেছেন তালিকা আছে। তিনি কী করে এই অভিযোগ করেন?
 
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের আরেক সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু অভিযোগ করেছেন, চট্টগ্রামের নিয়োগ পরীক্ষা ঢাকায় কেন নেওয়া হয়। আমাদের যে সংখ্যক চাকরি প্রার্থী থাকে তাদের চট্টগ্রামে পরীক্ষা নেওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। তাই ঢাকাতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। তিনি কখনো সুপারিশ করেন নাই। তবে তার পার্টির নেতা এইচএম এরশাদ সুপারিশ করেছিলেন তাকেও দেওয়া হয়েছে। কাজেই মঈনুদ্দিন খান বাদল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য। এই অসত্য বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।