ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সওগাত পত্রিকার সাংবাদিকতা অনুসরণীয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
সওগাত পত্রিকার সাংবাদিকতা অনুসরণীয় স্মরণসভা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: সওগাত পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন ছিলেন একজন সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে তিনি যে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছিলেন, তা সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয়। তিনি পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের, বিশেষ করে নারী সমাজের অগ্রগতির জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতেন। নূরজাহান বেগম তার প্রেরণাতেই বেগম পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন।

সোমবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে নাসিরউদ্দীনের ১২৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন লেখক ও প্রবীণ সাংবাদিক রাহাত খান।

তিনি বলেন, নাসিরউদ্দীনের স্বপ্ন এখনও অপূর্ণ রয়ে গেছে।

কেননা বাংলাদেশে গ্রামের মেয়েরা এখনও সুবিধাবঞ্চিত। এ ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।  

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শামসুজজাহান নূর এবং ড. গুলশান আরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম।

মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শামসুজজাহান নূর বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় রয়েছে জীবনের হুমকি, পাশাপাশি রয়েছে অ্যাডভেঞ্চার। যার পুরোটাই উপভোগ করতেন নাসিরউদ্দীন। এজন্য তিনি এদেশের সাংবাদিকতায় অনূসরণীয়। নাসিরউদ্দীন প্রতিভা চিনতেন ও তার কদর করতে জানতেন।  

নাসিরউদ্দীনকে সাংবাদিকতার প্রবাদ পুরুষ বলে সম্বোধন করে ড. গুলশান আরা বলেন, বেগম রোকেয়ার মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে নাসিরউদ্দীন মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করে গেছেন।

সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম বলেন, নাসিরউদ্দীন শতবর্ষ পরও মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে বেঁচে আছেন আমাদের মাঝে তার কাজের মধ্য দিয়ে।

আগামী প্রজন্ম যাতে সওগাত সম্পর্কে জানতে পারে তার জন্য তিনি সওগাত পত্রিকা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের কিপার ড. শিহাব শাহরিয়ার। তিনি বলেন, দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের স্মরণ করতে জাতীয় জাদুঘর নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিকতার অগ্রদূত নাসিরউদ্দীনকে স্মরণ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এইচএমএস/আরআর


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।