সোমবার (২০ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডের ৪১ নম্বর বেডে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিশুর বাবার নাম জুয়েল মিয়া ও মা সুমাইয়া আক্তার।
পুলিশ ও নিখোঁজ শিশুর পারিবারিক সূত্র জানায়, ডায়াবেটিস থেকে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৩১ অক্টোবর জুয়েল ঢামেক হাসপাতালের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তাকে ৪০ নম্বর বেডটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভর্তির পর থেকে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে শিশুসহ স্ত্রী সুমাইয়াও তার সঙ্গে ছিলেন।
সোমবার পাশের ৪১ নম্বর বেডটি খালি থাকায় শিশুকন্যাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সুমাইয়া। আর পাশের বেডেই ঘুমুচ্ছিলেন অসুস্থ জুয়েল।
জুয়েলের ভাতিজা রাফসান ফরাজি বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভাঙলে আমার চাচি দেখেন তার মেয়ে কোলে নেই। তখনই কান্নাকাটি শুরু করেন তিনি। পরে অন্যান্য রোগী, রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ছুটে আসেন। তবে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও জিমকে কোথাও পাওয়া যায়নি। ’
চাচির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে আসার পর থেকেই অনেকেই বিশেষ করে নারীরা শিশুটিকে দেখে প্রশংসা করতেন এবং যেচে খোঁজ-খবর নিতেন। তবে এ ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না চাচি। ’
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। নিখোঁজ শিশুটির পরিবারের লোকজনও ক্যাম্পে এসেছেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত আনসার সদস্যসহ আমরা শিশুটির সন্ধানে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
বিষয়টি ঢামেক হাসপাতালের পরিচালককে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ করা হলে ঢামেক হাসপাতালে নিযুক্ত আনসার ভিডিপির প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালে ঘুমন্ত অবস্থায় মায়ের কোল থেকে নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর থেকেই আমরা শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে নতুন ভবনে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারী জানান, ঢামেক হাসপাতালের প্রত্যেকটি গেট দিয়ে প্রতিদিন কতজন শিশু বাইরে যায় কিংবা ভেতরে নিয়ে আসা হয় তার হিসাব আনসার সদস্যদের কাছে লিপিবদ্ধ করতে হয়।
তাই গেটে আনসার নিযুক্ত থাকার পরও ওয়ার্ড থেকে শিশু নিখোঁজ হওয়া বেশ রহস্যজনক। বিষয়টি নিয়ে ঢামেক হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এজেডএস/এমএ