ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অনশনেও স্ত্রীর স্বীকৃতি পাননি তরুণী!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
অনশনেও স্ত্রীর স্বীকৃতি পাননি তরুণী!

রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আতাউর রহমানকে স্বামী দাবি করে দুইদিন অনশন করেও স্ত্রীর স্বীকৃতি পাননি সুমী আক্তার নামে এক তরুণী। 

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল থেকে রোববার (১৯ নভেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত গোদাগাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে তিনি অনশন করেন। পরে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে তাকে কুড়িগ্রামে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সুমী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার উমান্দপুর গ্রামের মুনসুর আলীর মেয়ে। তার অভিযোগ, ‘কলেজে পড়ার সময় কুড়িগ্রাম জেলার একই উপজেলার মধুপুর বাকারা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আতাউর রহমানের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এটি ২০১১ সালের এপ্রিল মাসের ঘটনা। ’

‘এরপর থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে  তাকে বিয়ের কথা বললে আতাউর বলেন, চাকরি হলে বিয়ে করে ঘরে তুলবেন। এক পর্যায়ে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আতাউর কুড়িগ্রামের মুমু ছাত্রাবাসে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে আমাকে বিয়ে করেন। তখন তাকে ফোন দেওয়া হলে তিনি সরকারি চাকরি হয়ে গেলেই স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন। ’

সুমী আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনার প্রায় দুই বছর পর ফায়ার সার্ভিসে চাকরি নেন আতাউর। এরপর যোগাযোগ করলে আমায় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। সম্প্রতি অন্যত্র বিয়েও করেছেন আতাউর।  

এ খবর পাওয়ার পরই স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কুড়িগ্রাম থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ফায়ার স্টেশনে অনশন করেন সুমী।  

জানা গেছে, অনশনের এক পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন সুমী। পাশাপাশি আইনি সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইডেও তিনি আবেদন করেছেন।  

রাজশাহী বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সুমীর লিখিত অভিযোগ ও অন্যান্য কাগজপত্র দেখে এ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। ওই তরুণী আইনি সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইডেও যোগাযোগ করছেন।  

‘বিষয়টি মীমাংসার জন্যে আতাউরকে এক মাসের ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। আর সুমীকেও বুঝিয়ে তার গ্রামের বাড়ি পাঠানো হয়। এই সময়ে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা হলে আতাউর কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন। অন্যতায় আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এসএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।