সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জয়পুর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতার আরিফুলের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরিফুল রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে। তিনি কাটাখালী পৌরসভা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বড় ভাই আব্বাস আলী কাটাখালী পৌরসভার মেয়র। আরিফুল ইসলাম ওরফে মানিক অধ্যাপক লিলন হত্যা মামলার আসামি। তবে বর্তমানে জামিনে আছেন তিনি।
ওসি সায়েদুর বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়। অস্ত্র নিয়ে তিনি কেন সেখানে অবস্থান করছিলেন-এ বিষয়ে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
রাবির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসরিন আখতার রেশমার সঙ্গে শিক্ষক লিলনের দ্বন্দ্বের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, আব্দুস সামাদ পিন্টু, আরিফুল ইসলাম মানিক, সিরাজুল ইসলাম, সবুজ, আল মামুন, আরিফ, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহিম খলিল ও নাসরিন আখতার রেশমাকে আসামি করা হয়।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন লিলন। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এসএস/এমএ